Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
অষ্টগ্রামে ঐতিহাসিক কুতুবশাহী মসজিদ
বিস্তারিত

ঐতিহাসিক কুতুবশাহী মসজিদ মুঘুল স্থাপতের অপূর্ব নির্দশন। ভািটর রাণী অষ্টগ্রাম সদরের প্রাচীন নির্দশন অন্যতম ঐতিহাসিককুতুবশাহী মসজিদ। ৩০০ বছর বয়সের দৃষ্টি নন্দন এ মসজিদ নিয়ে ইসলামিক সাধকঅলি কুতুবশাহ রহমত উল্লাহর অনেক কেরামত ও ধর্মীয় ভাব-আবেগের কথা লোকশ্রুতরয়েছে। প্রত্নতপ্ত অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদেরপূর্ব-পশ্চিমে শায়িত হযরত শাহজলাল ইয়ামিন উল্লাহর সফর সঙ্গী হযরত শাহ কুতুবরহমত উল্লাহের নাম অনুসারে এ মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। বাংলায় সুলতানী ওমুঘল আমলের কারুকার্যে বৈশিষ্ট্যে স্থাপিত পাঁচ মসজিদের স্থাপত্যকালনিয়ে ঐতিহাসিকবিদদের মতে, মত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ ষোলশশতাব্দীর নির্মিত করলেও অধিকাংশ ইতিহাসবিদের মধ্যে মতে এ মসজিদ ১৭০০শতাব্দীতে নির্মিত। মসজিদের দেয়ালে স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে প্রমাণিত সতেরশতাব্দীর প্রথম দিকে সুলতানী ও মুঘল স্থাপত্যের নজীর। সরকার ৩০৯খ্রিস্টাব্দে পুরাকীর্তি হিসেবে মসজিদটিকে ঘোষণা করে। ঐতিহাসিক এ মসজিদটিরআয়তকার উত্তর-দক্ষিণে ৪৬ফুট ১১ ইঞ্চি এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২৭ফুট ১১ ইঞ্চিগ্রামীণ চৌছালা ঘরের চেয়েও এর কার্নিজগুলো অনেক বেশি বক্র। এর চারকোণেআটকোন বিশিষ্ট চারটি মিনার বা কর্ণার টার্নেট আছে। বহিরগাত্রে বেরিলিং এরকারুকার্য রয়েছে। পূর্ব দেয়ালে ৩টি ও উত্তর দক্ষিণ দেয়ালে দুটি করে চারটিসহমোট সাতটি খিলানযুক্ত প্রবেশপত্র বা দরজা রয়েছে। পূর্ব দেয়ালের প্রবেশপথের বিপরীতে পশ্চিম দেয়াল তিনটি মেলায়াত বিশাল পাঁচটি M¤^yR রয়েছে।বাংলাদেশ প্রত্মদপ্তর অধিদপ্তর কর্তৃক ঐ স্থাপনার আশ্চর্য ভিত্তিতে বিকাশজায়গা নিয়ে সংরক্ষিত এলাকার প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই ডানপাশের বড়শিলালিপিতে উল্লেখ্য রয়েছে এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। মসজিদ সংলগ্ন দক্ষিণের নামফলক ছাড়াও সুলতানী ও মুঘল স্থাপত্যের পাঁচটি কবর রয়েছে। পশ্চিম-উত্তরেকুতুবশাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা পূর্ব দিকে উন্মুক্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরাপ্রাঙ্গন পেরিয়ে বিশাল পুকুরের ফাঁকা ঘাট। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, এইমসজিদের শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করে।প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম শুক্রবার পাশ্ববর্তী উপজেলার হাজার হাজারনারী-পুরুষ সমবেত হয়ে শাহকুতুব রহমত উল্লাহের ওরজ উপলক্ষে। এছাড়া  শতশতমানুষ অলির মাজার জিয়ারত এবং মান্নত করতে আসে বিভিন্ন এলাকা থেকে। স্থানীয়চুত্ত আছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষ আত্মরক্ষারতে মসজিদে আত্মগোপনকরলে। পাকহানাদার বাহিনী মসজিদটি ধ্বংসের চেষ্টা তখন একাধিক সৈনিকরক্তক্ষরণ হয়ে পড়ে। তৎক্ষনাত পাকবাহিনী মসজিদ এবং অষ্টগ্রাম ত্যাগ করে।১৯৯০ এর দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সিলেট থেকে টাকাযাওয়ার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অষ্টগ্রামের আকাশ এসে বিকল হয়ে যায়।পড়ে ঢাকা থেকে আরো দুটি র্টান হেলিকাপ্টার এসে অষ্টগ্রামে বিকল হয়ে গেলেমুরব্বিদের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি ছিন্নি মানত করে। ঐ পীরের মাজারে তখন সকল হেলিকাপ্টার সচল হয়ে ওঠে। এছাড়াও অনেক ভাব-আবেগ জড়িতধর্মীয় কথা ও জনশ্রুতি রয়েছে এলাকায়।